পরম জ্ঞানী,গুণী ও ভক্ত দেব প্রসাদ ঘোষ উর্ফ দেবু দা অমর লোকে যাত্রা করলেন,,,,,

 ✍️সুনীল কুমার দে,,,,
 আসা যাওয়ার এই দুনিয়ায় কিবা থাকে হায়,
স্মৃতি আর কীর্তি রেখে মানুষ চলে যায়।
 অর্থাৎ আসা যাওয়ার সৃষ্টির নিয়মে যারাই এই পৃথিবীতে এসেছে একদিন পৃথিবীর মোহ মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে।শুধু স্মৃতি আর কীর্তি এই পৃথিবীতে থেকে যাবে।এই নিয়ম পালন করে পরম জ্ঞানী,গুণী ও ভক্ত দেব প্রসাদ ঘোষ অর্থাৎ সবার প্রিয় দেবু দা আমাদের ছেড়ে গত 20 শে আগস্ট 2024 সন্ধ্যা 7.30 মিনিটে অমর ধামে যাত্রা করলেন।তাঁর বয়স হয়েছিলো 90 এর উপরে।তিনি বর্তমান জামশেদপুরের বারো দুয়ারী তে নিজস্ব বাস ভবনে তাঁর পালিত ধর্ম পুত্র মুন্নার পরিবারের সাথে ছিলেন।তিনি বহুদিন থেকে বিছানা গত ছিলেন ও বহু রোগে ভুগছিলেন।
দেবুদা বর্তমান সমিতি সমাচার ও আনন্দম পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।তিনি প্রচন্ড গুণী,জ্ঞানী ও ভক্ত মানুষ ছিলেন।তাঁর কলমে প্রচন্ড জোর ছিলো।তিনি আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ ছিলেন।স্বামী নিগমানন্দের পরম ভক্ত ছিলেন।এ ছাড়াও রামকৃষ্ণ,বিবেকানন্দ,মা সারদা ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কে খুব মানতেন।বিহার বাঙালি সমিতির একজন রূপকার ছিলেন।তাঁর প্রতিটি লেখার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া থাকতো।তাঁর সাথে আমার বহু দিনের পরিচয়।আমি যখন বারদুয়ারিতে টেলিফোন বিভাগে কাজ করতাম অর্থাৎ 1981 সাল থেকে উনার সাথে আমার পরিচয়।তিনি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন নিজের ছোট ভাই এর মতো।তাঁর সাথে আমার ঘন্টার পর ঘন্টা ধর্ম কথা,ঠাকুর,মা ও স্বামীজীর কথা ও সমাজ নির্মাণের কথা হতো।তিনি আমাদের বার্ষিক পত্রিকা ঝাড়খন্ড প্রভার সাথেও যুক্ত ছিলেন।প্রতি বছর আমাদের পত্রিকাতে তাঁর উৎকৃষ্ট লেখা বের হতো।তিনি আমাদের মাতাজী আশ্রমেও অনেক বার এসে ছিলেন।তাঁর প্রয়ানে শুধু সমিতি সমাচার বা ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতিরি নয় সমাজের ও অনেক ক্ষতি হলো।আজকের দিনে দেবু দার মতো জ্ঞানী,গুণী ও সমাজ সেবক ও লেখক খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।তিনি চলে যাওয়ায় আমরা খুবই দুঃখিত ও মর্মাহত।আমি তাঁর আত্মার সদ গতির জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা জানাই।তিনি সংসারী হয়েও সংসারী ছিলেন না।তিনি পরিবারের সাথে থাকতেন না।সন্ন্যাসী না হয়েও সন্ন্যাসী জীবন পালন করতেন।ঠাকুর তাঁকে শান্তি প্রদান করুন।হরি ওম রামকৃষ্ণ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

 --ADVERTISEMENT--

RECOMMENDATION VIDEO 🠟

 --ADVERTISEMENT--

 --ADVERTISEMENT--