» সুনীল কুমার দে
Swami Vivekananda : মহাত্মা গান্ধী কে যদি স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রপিতা বলি,তাহলে যিনি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা এনেছেন সেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস কে বলবো স্বাধীন ভারতের মহানায়ক আর যিনি ঘুমন্ত ভারত বর্ষ কে জাগিয়েছেন,ভারতের আত্মাকে জাগিয়েছেন, ভারত বাসীর কানে স্বাধীনতার মন্ত্র দিয়েছেন সেই বিদ্রোহী বীর স্বামী বিবেকানন্দ কে বলবো স্বাধীন ভারতের পিতামহ।স্বামী বিবেকানন্দ জাতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন,,, উঠো জাগো ভারত বাসী,ভারত মাতা এখন সহস্র মানুষ বলি চান,এখন তোমাদের কে অন্য দেব দেবীর পুজো না করলেও চলবে,এখন ভারত মাতাই তোমাদের একমাত্র উপাস্য দেবতা হউক।স্বামীজি ভারত কে ও সনাতন হিন্দু ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাঁর গুরু ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের আদেশে আমেরিকায় গেলেন।ভারত কে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করলেন।সকল ধর্মকে সন্মান জানিয়ে হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব কে প্রমান করলেন।
হিন্দু ধর্মের মহানতা,উদারতা কে বিদেশে প্রচার করলেন।ইংরেজদের দেশে গিয়ে বললেন,,আমি তোমাদের কাছে ধর্ম প্রচার করতে আসি নি,ক্রিস্টান কে হিন্দু বানাতে আসি নি,আমি এসেছি আমার কোটি কোটি ভারত বাসীর জন্য ভিক্ষা চাইতে,যারা ভালো করে দুবেলা খেতে পায় না,উপযুক্ত শিক্ষা পায় না,চিকিৎসা পায় না।আর তোমরা সে দেশে গিয়ে তাদের হাতে বাইবেল তুলে দিচ্ছ,তাদের ধর্ম পরিবর্তন করছো।ধিক তোমাদের।আপনারা ভাবতে পারেন পরাধীন ভারতের একজন সন্ন্যাসী তাদের দেশে গিয়ে কড়া শাসন করে এসেছেন তিনি,যুদ্ধ করে এসেছেন বিনা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে,তুফানী সন্ন্যাসী নামে পরিচিত হয়েগেছিলেন তিনি।
আর আমরা বলি চরখা কেটে এ দেশে স্বাধীনতা এসেছে।স্বামীজি যখন দেশে ফিরে এলেন তখন দেশে স্বদেশ প্রেমের আগুন লেগে গেছে।ভারত আত্মা জেগে গেছে।সারা ভারত তার বিদ্রোহী সন্তান কে সাদরে স্বাগত করলো।খেতরির রাজা ঘোড়া খুলে দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে স্বামীজি কে বসিয়ে নিজেই রথ টানতে শুরু করলেন।উত্তাল জন সমুদ্র।ব্রিটিশ চোখ খুলে দেখলো জাগ্রত ভারত বাসী কে।স্বামীজি কলকাতায় এসে ত্যাগ ও সেবার কেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশনের স্থাপনা করলেন বেলুড়ে।দলে দলে লোক আসতে লাগলো স্বামীজীর কাছে।স্বামীজি সবাই কে দেশ প্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত করলেন।ইংরেজের নজরে পড়লো বেলুড় মঠ।এখানে স্বদেশি আন্দোলনের আখড়া বনছে জেনে স্বামীজি কে ধরতে এলেন।
স্বামীজী গর্জে উঠলেন,,,সাহেব এ দেশ টা আমাদের তাই আমি ভবিষ্যৎ বাণী করছি আজ থেকে 50 বছর পরে ভারত ছেড়ে তোমাদেরকে যেতেই হবে।তার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।পরবর্তী কালে স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতার জন্য বহু বিপ্লবী আন্দোলন করেছেন তার মধ্যে বাল গঙ্গাধর তিলক,ঋষি অরবিন্দ,সিস্টার নিবেদিতা, হেমচন্দ্র,বারিন ঘোষ,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস প্রমুখ ছিলেন।কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ তাই বলেছিলেন,, যদি ভারত কে জানতে চাও তবে বিবেকানন্দ কে জানো,তিনি স্বয়ং ভারত বর্ষ ছিলেন।সেজন্যই বললাম স্বামী বিবেকানন্দ স্বাধীন ভারতের পিতামহ।